আগামী (২০২১-২২) অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সঞ্চয়পত্র কেনার ক্ষেত্রে প্রচলিত নিয়মে আংশিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন আইন কার্যকর হলে আগামী ১ জুলাই থেকে ২ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কিনলে আয়কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। একই সঙ্গে টিনের বিপরীতে গ্রাহক সঞ্চয়পত্রের মুনাফা থেকে যে পরিমাণ আয়কর দেবেন তা মোট আয়করের সঙ্গে সমন্বয় করা যাবে। সঞ্চয় অধিদপ্তরের সঞ্চয়পত্র বিধিমালা অনুযায়ী, এক লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কিনলেই টিআইএন জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে। এর কম টাকার কিনলে কোনো টিআইএন লাগবে না। তবে সঞ্চয়পত্রের সব ফরমে টিআইএন নম্বর উল্লেখ করার জন্য আলাদা একটি ঘর রয়েছে।
এক লাখ টাকার কম সঞ্চয়পত্র কেনার সময় টিআইএন না দিলে এর মুনাফার বিপরীত দেওয়া কর গ্রাহকের মোট করের সঙ্গে সমন্বয় করা যাবে না। তবে এ ক্ষেত্রে টিআইএন দিলে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার বিপরীতে দেওয়া কর গ্রাহকের মোট করের সঙ্গে সমন্বয় করা যাবে। সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রযোজ্য হয়।
সঞ্চয় অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার বিপরীতে ৫ শতাংশ এবং এর বেশি থাকলে সেই মুনাফার ওপর ১০ শতাংশ উৎসে কর দিতে হবে। পরিবার ও পেনশনার সঞ্চয়পত্র ব্যাংকে বন্ধক রেখে কোনো ঋণ নেওয়া যাবে না। একই সঙ্গে এগুলো কোনো প্রতিষ্ঠানে জামানত হিসাবেও বন্ধক রাখা যাবে না। তিন বছর মেয়াদি তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র একক নামে ৩০ লাখ ও যৌথ নামে ৬০ লাখ টাকা কেনা যাবে। সর্বনিম্ন ১ লাখ টাকার কিনতে হবে। এতে প্রথম বছরে ১০ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে সাড়ে ১০ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ০৪ শতাংশ মুনাফা দেওয়া হয়।